বর্ষাকালে বাংলাদেশে ভ্রমণের ৭টি সেরা স্থান

বর্ষাকালে বাংলাদেশে ভ্রমণ বা ঘোরার জন্য ৭টি সেরা স্থান সম্পর্কে জানুন। বিস্তারিত গাইড সহ অবস্থান, যোগাযোগ, আবাসন মোবাইল নম্বর, সতর্কতা ও টিপস নিয়ে নিন।

বর্ষাকালে বাংলাদেশে ভ্রমণের ৭টি সেরা স্থান
পোস্ট সূচিপত্র

বর্ষাকালে বাংলাদেশে ভ্রমণের ৭টি সেরা স্থান

যারা প্রকৃতিকে ভালোবাসেন, তাদের জন্য বর্ষাকাল হতে পারে সবচেয়ে উপযুক্ত ভ্রমণ সময়। বাংলাদেশে বর্ষাকাল মানেই কিন্তু সবুজে মোড়ানো প্রকৃতি, নদী-নালার ভরে ওঠা জলাধারগুলোতে নতুন প্রাণের সঞ্চার এবং এক ভিন্নধর্মী রোমাঞ্চকর ভ্রমণের উৎকৃষ্ট সময়।  আজ আমরা জানবো বর্ষাকালে বাংলাদেশে ঘোরার জন্য ৭টি সেরা জায়গা যা আপনাকে বিমোহিত করবে। বর্ষাকালে ঘোরাঘুরির জন্য বাংলাদেশে প্রচুর স্থান বা পর্যটন কেন্দ্র রয়েছে। এগুলোর মধ্যে বর্ষাকালে ভ্রমণের জন্য সেরা ৭টি স্থানের নাম নির্বাচন করে সেই স্থানে যাতায়াতের যাবতীয় তথ্য উপাত্ত নিয়ে প্রস্তুত করা হয়েছে আমাদের আজকের এই পোস্টটি। ১। সাজেক ভ্যালি, রাঙামাটি, ২। লালাখাল, সিলেট, ৩। টাঙ্গুয়ার হাওর, সুনামগঞ্জ, ৪। রেমাক্রি ও নাফাখুম জলপ্রপাত, বান্দরবান, ৫। রাতারগুল সোয়াম্প ফরেস্ট, সিলেট, ৬। পাহাড়পুর বৌদ্ধবিহার, নওগাঁ ও ৭। কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত হলো বাংলাদেশে বর্ষার দর্শনীয় স্থান। বৃষ্টি মৌসুমে নির্দিধায় ঘুরে আসতে পারেন এই ৭টি স্থান থেকে।

আরো পড়ুন : শুভ সকাল রোমান্টিক মেসেজ, স্ট্যাটাস, ক্যাপশন, ছন্দ ও কবিতা

১. সাজেক ভ্যালি, রাঙামাটি

পরিচিতি: সাজেক ভ্যালি, রাঙামাটি বা সাজেককে বলা হয় “বাংলাদেশের মেঘের রাজ্য”। বর্ষাকালে এখানে মেঘে ঢেকে থাকা পাহাড়, সবুজ বন আর শীতল বাতাস এক অনন্য অভিজ্ঞতা তৈরী করে। সাজেক বর্ষাকালে যেমনি এক অন্যরকম রূপ নেয় তেমনি মেঘ আর পাহাড়ের খেলা, সাথে সবুজে ঘেরা উপত্যকা আপনাকে অন্য এক দুনিয়ায় নিয়ে যাবে। এই সময় মেঘের রাজ্যে ভেসে থাকা সাজেক হয়ে ওঠে মেঘপ্রেমীদের প্রশান্তির স্থান। বাংলাদেশে বর্ষাকাল ভ্রমণ স্থান হিসেবে সাজেক ভ্যালি, রাঙামাটি রয়েছে আজকের পোস্টের শীর্ষ স্থানে।

সাজেক ভ্যালি, রাঙামাটি

অবস্থান: রাঙামাটি জেলার বাঘাইছড়ি উপজেলায় অবস্থিত 

ঢাকা থেকে যোগাযোগ :

  • ঢাকাসহ অন্যান্য জেলার লোকজন ঢাকায় পৌছে, ঢাকা শহীদ মিনার বা কলাবাগান থেকে থেকে খাগড়াছড়ি পর্যন্ত বাসে যেতে পারেন সাদিয়া, এনা, হানিফসহ আরো অন্যান্য বাস ভাল সার্ভিস দিয়ে আসছে।
  • খাগড়াছড়ি পৌছে জিপে করে দিঘিনালা হয়ে সাজেক পৌছাতে ৩ থেকে ৪ ঘণ্টা লাগে।

আবাসন:

সাজেকে পৌছে অনেকগুলা আবাসিক পেয়ে যাবেন নিচে তুলনামুলক ভাল সার্ভিস দিয়ে থাকে এমন কয়েকটি রিসোর্টের নাম ও মোবইল নম্বর দেয়া হলো।

  • রুন্ময় রিসোর্ট: 01791898998
  • মেঘপুঞ্জি রিসোর্ট: 01883778899
  • লুসাই কটেজ: 01753511113

টিপস ও সতর্কতা:

  • নিরাপত্তা বাহিনীর অনুমতি ছাড়া চলাচল বা ঘোরাফেরা করবেন না
  • সকাল-সন্ধ্যায় জিপ চলাচলের নির্দিষ্ট সময় অনুসরণ করুন।
  • সাথে ক্যাশ রাখুন, কারণ এখানে মোবাইল নেটওয়ার্ক অনেকটা দুর্বল।

যা যা দেখবেন:

  • কংলাক পাড়া ও রুইলুই পাড়া
  • মেঘ ভেলা সূর্যোদয়
  • ঝিরিপথ ও পাহাড়ি রাস্তা

আরো পড়ুন : হাসির ধাঁধাঁ উত্তরসহ ছবি

২. লালাখাল, সিলেট

পরিচিতি: বর্ষাকালে লালাখালের পানির রং আরও সবুজাভ নীল হয়ে থাবে। ঝিরঝিরে বৃষ্টি আর চারপাশের চা বাগান মিলে এক অপূর্ব দৃশ্য তৈরি হয়। নৌকা ভ্রমণের জন্য লালাখাল সবচেয়ে উপযোগী।লালাখাল, সিলেটের সারি নদীর কিনারায় অবস্থিত লালাখালের নীলচে পানি বর্ষায় আরও জ্বলজ্বল করে। চা বাগান, পাহাড় এবং নদীর মিলনে এ যেন এক অসাধারণ দৃশ্যের অভিজ্ঞতা।

লালাখাল, সিলেট

অবস্থান: সিলেট জেলার জৈন্তাপুর উপজেলা

ঢাকা থেকে যোগাযোগ:

  • ঢাকাসহ অন্যান্য জেলার লোকজন ঢাকায় পৌছে ট্রেনে বাবাসে সিলেট যেতে হবে।
  • সিলেট শহর থেকে সিএনজি বা মাইক্রোবাসে করে সরাসরি লালাখাল যেতে সময় পারবেন।

আবাসন:

  • নাজিমগড় গার্ডেন রিসোর্ট: 01755559319
  • হোটেল নুর জাহান গার্ডেন: 01918801120
  • শ্রীমঞ্জল ইন: 01716126022

টিপস ও সতর্কতা:

  • বর্ষায় নৌকা ভ্রমনে যথেষ্ট সাবধানতা অবলম্বল করতে হবে।
  • রাস্তা ভেজা থাকায় পিচ্ছিল হতে পারে, তাই যথাযথ জুতা নির্বাচন করুন।
  • অবশ্যই দিনের বেলায় ঘোরাফেরা করুন।

টিপস:

  • লালাখাল, সিলেট শহর থেকে মাত্র ৩৫ কিমি দূরে হওয়ায় যাওয়া সহজ
  • নৌকা ভাড়া করে সকালেই ঘোরার পরিকল্পনা করতে পারেন।

আরো পড়ুন : সেরা ১০টি ঘুমের ঔষধের নাম দাম ও ছবি

৩. টাঙ্গুয়ার হাওর, সুনামগঞ্জ

পরিচিতি: টাঙ্গুয়ার হাওর বর্ষাকালে বিশাল জলরাশিতে পরিণত হয়। একমাত্র বর্ষাকালেই নৌকায় অবস্থান করে রাত্রীযাপন কিংবা ভাসমান ঘরবাড়ি দেখার মতো হয়। টাঙ্গুয়ার হাওর, সুনামগঞ্জ এ পাখি, পানি, জলজ উদ্ভিদ ও নীল আকাশের প্রতিচ্ছবি সবাইকে মুগ্ধ করে।

টাঙ্গুয়ার হাওর, সুনামগঞ্জ

অবস্থান: সুনামগঞ্জ জেলার তাহিরপুর উপজেলায় অবস্থিত

ঢাকা থেকে যোগাযোগ:

  • ঢাকা থেকে হানিফ, এনাসহ অন্যান্য বাসে সুনামগঞ্জ খুব ভাল ভাবেই যাওয়া যায়।
  • সেখান থেকে সিএনজি, মাইক্রোবাস বা বাইক নিয়ে তাহিরপুর যাওয়া সহজ।

আবাসন:

  • হাওর ভিউ গেষ্ট হাউস, তাহেরপুর: 01714854044
  • হাউস বোড বুকিং: 01883014925

টিপস ও সতর্কতা:

  • নিজেদের ব্যবহারের টুকিটাকি জিনিস ও খাবার সঙ্গে নিন।
  • অবশ্যই লাইফ জ্যাকেট সংগে রাখুন ও ব্যবহার করুন।
  • পানিতে নামার আগে পানির গভীরতা সম্পর্কে সচেতন থাকুন।

অবশ্যই দেখবেন:

  • হাওরের মাঝের ছোট ছোট দ্বীপ
  • স্থানীয় জেলে গ্রাম
  • সূর্যোদয় ও সূর্যাস্ত

আরো পড়ুন : ত্বকের তৈলাক্ততা কমানোর উপায়

৪. রেমাক্রি ও নাফাখুম জলপ্রপাত, বান্দরবান

পরিচিতি: বর্ষাকালে জলপ্রপাতগুলোর জলপ্রবাহ বেড়ে যায় তাই তখন এদের আসল সৌন্দর্য ফুটে ওঠে। বার্ষাকালকে আরোও রোমাঞ্চকর করতে ঘুরে আসতে পারেন রেমাক্রি ও নাফাখুম জলপ্রপাত। রেমাক্রি নদী এবং পাহাড়ি পথে হেঁটে যেতে হয় নাফাখুম পর্যন্ত। বর্ষায় এই জলপ্রপাত রূপে রঙে অনন্য হয়ে ওঠে।

রেমাক্রি ও নাফাখুম জলপ্রপাত, বান্দরবান

অবস্থান: বান্দরবান জেলার থানচি উপজেলা

ঢাকা থেকে যোগাযোগ:

  • ঢাকা থেকে হানিফ, এনা, ইউনিক সহ অনেকগুলো বাসে বান্দরবান যেতে হবে।
  • বান্দরবান থেকে থানচি যাওয়ার অনেক সিএনজি, মাইক্রোবাস পাওয়া যায়।
  • থানচি থেকে রেমাক্রি ও নাফাখুম যাওয়া অনেক সহজ।
  • রেমাক্রি ও নাফাখুম জলপ্রপাত, বান্দরবান সম্পর্কে আরোও জানতে এখানে ক্লিক করুন।

আবাসন:

  • থানচি রেস্ট হাউস: 01552277788
  • রেমাক্রি ইকো কটেজ: স্থানীয় গাইড কতৃক বুক করতে হয়।

টিপস ও সতর্কতা:

  • অবশ্যই স্থানীয় গাইড সংগে রাখবে হবে।
  • পাহাড়ি পথে হাঁটার শারিরীক ও মানুষিক প্রস্তুতি নিয়ে নিন।
  • বিদ্যুৎ ও মোবাইল নেটওয়ার্ক কম থাকে।

মনে রাখবেন:

  • অবশ্যই ট্রেকিং জুতা ও রেইনকোট সংগে নিতে ভুলবেন না
  • নিরাপত্তা সতর্কতা মেনে চলতে হবে।

৫. রাতারগুল সোয়াম্প ফরেস্ট, সিলেট

পরিচিতি:  বাংলাদেশের ‘অ্যামাজন’ ঘুরে আসতে চান? তাহলে রাতারগুল সোয়াম্প ফরেস্ট, সিলেট চলে যান। রাতারগুলকে বলা হয় বাংলাদেশের অ্যামাজন। বিশেষ করে বর্ষাকালে এটি এক রোমাঞ্চকর জলাবন ভ্রমণে পরিণত হয় । নৌকায় গাছের ফাঁকে ভ্রমণ আপনাকে অন্য জগতে নিয়ে যাবে। এখানে নৌকা করে ঘুরে বেড়ালে আপনার মনে হবে আপনি রেইন ফরেস্ট অভিযান করছেন।

রাতারগুল সোয়াম্প ফরেস্ট, সিলেট

অবস্থান: সিলেট জেলার গোয়াইনঘাট উপজেলায় অবস্থিত।

ঢাকা থেকে যোগাযোগ:

  • ঢাকা থেকে ট্রেন বা সিলেটগামী বাসে সিলেট পর্যন্ত যেতে হবে।
  • সিলেট শহর থেকে কার, মাইক্রোবাস বা সিএনজি করে রাতারগুল যেতে প্রায় ১.৫ ঘণ্টা সময় লাগবে।
  • আরো জানতে এখানে ক্লিক করুন।

আবাসন:

  • হোটেল নুর জাহান গার্ডেন: 01918801120
  • লা-রোজ হোটেল: 01712182980

টিপস ও সতর্কতা:

  • লাইফ জ্যাকেট ও রেইন কোর্ট পরিধান করুন।
  • সরকার অনুমোদিত নৌকা ব্যবহার করুন।
  • সাঁতার না জানলে একা নৌকায় না উঠুন।

মনে রাখতে হবে:

  • বর্ষাকালে, পানিতে বনের ৮০% ডুবে যায়।
  • সরকার নিয়ন্ত্রিত পর্যটন অঞ্চল হওয়ায়, ভিড় কম হয়।

৬. পাহাড়পুর বৌদ্ধবিহার, নওগাঁ

পরিচিতি: বর্ষাকালে ঐতিহাসিক স্থানে ভ্রমণ করতে চাইলে পাহাড়পুর বৌদ্ধবিহার, নওগাঁ হতে পারে উপযুক্ত স্থান। বর্ষায় সবুজে ঢাকা এই প্রাচীন স্থাপত্য নিঃসন্দেহে অন্যরকম প্রশান্তি এনে দিতে পারে। পাহাড়পুর বৌদ্ধবিহার ইউনেস্কো ঘোষিত একটি বিশ্ব ঐতিহ্য ও স্থাপনা। বর্ষার সবুজ জমিনে প্রাচীন ইটের স্থাপনা আরও মনোমুগ্ধকর দেখায় যা মনকে প্রসান্তি এনে দিতে পারে।

পাহাড়পুর বৌদ্ধবিহার, নওগাঁ

অবস্থান: নওগাঁ জেলার বদলগাছী উপজেলা।

ঢাকা থেকে যোগাযোগ:

  • ঢাকা থেকে বাসে বা ট্রেনে জয়পুরহাট যেতে হবে।
  • জয়পুরহাট থেকে থেকে অটো, সিএনজি, কার বা মাইক্রোতে করে পাহাড়পুর যাওয়া খুবই সহজ।

আবাসন:

  • পাহাড়পুর রেষ্ট হাউস (সরকারি): 01721566711
  • হোটেল রনি আবাসন, জয়পুরহাট: 01716090650

টিপস ও সতর্কতা:

  • পাহাড়পুর বৌদ্ধবিহার এর ইতিহাস সম্পর্কে জানতে গাইড নিন।
  • বর্ষাকালে পিচ্ছিল ইট থেকে সাবধান থাকুন।
  • ছাতা ও রেইনকোট সঙ্গে রাখুন।

ভিজিট করার সময়:

  • সকালের দিকে গেলে বৃষ্টি কম হয়
  • ক্যামেরা ও ছাতা সংগে রাখা ভাল

৭. কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত, পটুয়াখালী

পরিচিতি: কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত এমনি এক বিরল সৈকত যেখান থেকে সানরাইজ ও সানসেট দেখা যায়। এখানে বর্ষাকালে সাগরের ঢেউ আরও আকর্ষণীয় হয়ে ওঠে। যদিও সমুদ্র যাত্রা বর্ষায় একটু রিস্কি হয়ে থাকে, তবে কুয়াকাটা ভিন্ন। সব থেকে মজাদার বিষয় হলো এখানে সূর্যোদয় ও সূর্যাস্ত একই সৈকতে দেখা যায়। আর এখানে বর্ষায় বৃষ্টিভেজা বালুকাবেলায় হাঁটার মজাই আলাদা।

কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত, পটুয়াখালী

অবস্থান: পটুয়াখালী জেলা কলাপাড়া উপজেলায় অবস্থিত।

ঢাকা থেকে যোগাযোগ: 

  • ঢাকায় পৌছে, ঢাকা গাবতলী থেকে সরাসরি কুয়াকাটাগামী অনেকগুলো বাস পাওয়া যায়।
  • কুয়াকাটা বাসস্ট্যান্ড থেকে রিকশা বা অটোতে করে সৈকতে যাওয়া যায়।

আবাসন:

  • হোটেল গ্রাভের ইন: 01717196099
  • হোটেল সি ক্রাউন, কুয়াকাটা: 01841642734

টিপস ও সতর্কতা:

  • সাগরে গোসল করার সময় খুবই সতর্ক থাকুন।
  • নিয়মিত আবহাওয়ার আপডেট দেখে ঘোরাঘুরির পরিকল্পনা করুন।
  • বৃষ্টির কারণে বিদ্যুৎ গোলযোগ হতে পারে, পাওয়ার ব্যাংক সঙ্গে রাখতে পারেন।


বর্ষাকালে ভ্রমণের প্রস্তুতি টিপস:

  • বর্ষাকালে সমুদ্র ভ্রমনে সাবধান থাকতে হবে কারণ এ সময় সমুদ্র উত্তাল থাকতে পারে।
  • বর্ষাকালে ভ্রমণের জন্য থাকার খরচ তুলনামূলক কম।
  • রেইনকোট ও ছাতা সংগে রাখতে ভুলবেন না।
  • জলরোধী জুতা বা প্রয়োজনে গাম বুট ব্যবহার করুন।
  • পোকা নিরোধক স্প্রে ও ওষুধ সাথে রাখবেন।
  • Google Map ও Offline Map ব্যবহার রাখুন
  • ক্যামেরা ও পাওয়ার ব্যাংক সাথে নিন

উপসংহার: বর্ষাকালে বাংলাদেশে ভ্রমণের ৭টি সেরা স্থান

প্রিয় পাঠক, বর্ষাকালে বাংলাদেশে ভ্রমণের ৭টি সেরা স্থান সম্পর্কিত এই পোস্টটি পড়ে আশা করি আপনি ১। সাজেক ভ্যালি, রাঙামাটি, ২। লালাখাল, সিলেট, ৩। টাঙ্গুয়ার হাওর, সুনামগঞ্জ, ৪। রেমাক্রি ও নাফাখুম জলপ্রপাত, বান্দরবান, ৫। রাতারগুল সোয়াম্প ফরেস্ট, সিলেট, ৬। পাহাড়পুর বৌদ্ধবিহার, নওগাঁ ও ৭। কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে যাতায়াতের যাবতীয় তথ্য সম্পর্কে জানলেন।

বর্ষাকাল মানেই ঘরে বসে থাকা নয়, বরং নতুন অভিজ্ঞতার অপেক্ষা। উপরে বর্ণিত যেকোনো ভ্রমণ স্থানে আপনি পেতে পারেন প্রকৃতির নিখাদ সৌন্দর্য ও মানসিক প্রশান্তির জন্য। শুধু সাবধানতা আর পরিকল্পনা থাকলেই বর্ষাকাল হতে পারে আপনার জীবনের অন্যতম স্মরণীয় ভ্রমনকাল। বর্ষাকালে বাংলাদেশ যেন নতুন রূপে জেগে ওঠে। এই মৌসুমের সৌন্দর্য, সবুজ প্রকৃতি আর জলজ দৃশ্য আমাদের মনে স্বস্তি ও প্রশান্তি আনে। তবে মনে রাখবেন, ভ্রমণের পূর্বে আবহাওয়ার অবস্থা ও স্থানীয় নির্দেশনা মেনে চলা জরুরি।

পোস্টটি কেমন লাগলো জানিয়ে ও কোন প্রশ্ন থাকলে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন। ভাল লাগলে বন্ধুদের শেয়ার করতে ভুলবেন। 

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

ফ্লোনেস্ট বিডির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url