বাংলা বাগধারা তালিকা pdf ও মনে রাখার উপায়

বাংলা বাগধারা তালিকা pdf ও মনে রাখার সহজ উপায় এবং কৌশল সম্পর্কে জানতে চান? শিক্ষার্থীদের বাগধারা সংক্রান্ত সকল সমস্যা সমাধানের জন্যই এই পোস্ট।

বাংলা বাগধারা তালিকা pdf ও মনে রাখার উপায়
পোস্ট সূচিপত্র

বাংলা বাগধারা তালিকা pdf ও মনে রাখার উপায়

বাংলাদেশের প্রাথমিক থেকে উচ্চ মাধ্যমিক প্রায় সকল ক্লাসে বাংলা ২য় পত্রে বাগধারা অধ্যায়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে ক্লাস ৬, ক্লাস ৭, ক্লাস ৮, ক্লাস ৯ ক্লাস ১০, এসএসসি ও এইচএসসি ক্লাসের ছাত্র-ছাত্রীদের বাংলা ২য় পত্র বিষয়ে প্রায় সকল পরীক্ষায় এই বাগধারা অংশটি থেকে প্রশ্ন থাকে। আর যাই হোক পরীক্ষার হলে বসে বাগধারা শিক্ষার্থীদের মনে থাকে না। বাংলা ২য় পত্রের এই বাগধারা সংক্রান্ত সমস্যার সমাধান করতেই আজকের এই পোস্ট।

বাংলা বাগধারা তালিকা অনেকেই মোবাইলে বা নিজের ডিভাইসে রেখে দিতে চান, সচারচর সকল পরীক্ষায় আসে এমন অনেকগুলো বাগধারার তালিকা নিয়ে আজকে আমাদের আলোচনা। সেই সাথে মনে রাখার সহজ উপায় ও কৌশল সম্পর্কেও জেনে যাবেন এই পোস্ট থেকে। অনেকেই আবার bangla bagdhara list pdf দিয়ে ইন্টারনেটে সার্স দিয়ে থাকেন। মূলত যারা এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চান তারা পোস্টটি শেষ পর্যন্ত পড়ুন। বেশি বেশি চর্চা করতে এই পোস্টটি আপনার ব্রাউজারে বুকমার্ক করে রাখতে পারেন অথবা পিডিএফ আকারে ডাউনলোডও করে নিতে পারেন।

আরো পড়ুন : পরীক্ষার আগে দ্রুত পড়া মুখস্থ করার উপায়

বাগধারা কাকে বলে বা বাগধারার সংজ্ঞা

বাংলা ২য় পত্র বা বাংলা ব্যাকরণে বাগধারা সম্পর্কে আলোচনা করা হয়ে থাকে। বাংলা ব্যাকরণের ভাষায় বাক্য বা বাক্যাংশের বিশেষ প্রকাশভঙ্গিকে বলা হয় বাগধারা। বিশেষ কোন প্রসঙ্গে শব্দের বিশিষ্টার্থক প্রয়োগের ফলে বাংলায় বহু বাগধারা তৈরি হয়েছে। আর এ ধরনের প্রয়োগকৃত পদগুচ্ছ বা বাক্যাংশ আভিধানিক অর্থ ছাপিয়ে বিশেষ অর্থের দ্যোতক হয়ে ওঠে। যেমন: 'অন্ধকারে ঢিল ছোড়া' কথাটা দিয়ে বোঝানো হয় 'আন্দাজে কিছু করা'। লক্ষ্য করুন, আন্দাজে কিছু করার সাথে অন্ধকারে ঢিল ছোড়ার কিন্তু কোন সম্পর্ক নেই আর এটাই হলো বাগধারা।

সংজ্ঞা: যে পদগুচ্ছ বা বাক্যাংশ বিশিষ্টার্থক প্রয়োগের ফলে আভিধানিক অর্থের বাইরে আলাদা অর্থ প্রকাশ করে, তাকে বাগধারা বলা হয়।

কেন বাগধারা জানা প্রয়োজন

একথাকায় বলতে গেলে বাগধারা দিয়ে আমরা মূলত ভাষাকে সংক্ষিপ্ত করি। মনের মূল ভাবের ইঙ্গিতের প্রকাশ ঘটিয়ে নিজের বক্তব্যকে রসময় করে উপস্থাপনের অসাধারণ ক্ষমতা রয়েছে বাগধারায়। এর মাধ্যমে আমরা সমাজের দৈনন্দিন জীবনের অভিজ্ঞতা সূক্ষ্মতার সাথে প্রকাশ করতে পারি। এদিক থেকে বাগধারা বাংলা সাহিত্যের জন্য একটি বিশেষ সম্পদ বলে প্রতিয়মান হয়। বাগধারা গঠনের মাধ্যমে বিভিন্ন শব্দের ব্যবহারকে শব্দের রীতিসিদ্ধ প্রয়োগও বলা হয়ে থাকে। তাই সর্বপরি আমরা বলতে পারি শুধুমাত্র পরীক্ষায় নম্বর পাওয়ার জন্য নয় বরং নিজের ভাষাকে আরো সুন্দর ও রুচিময় করতে বাগধারা আমাদের জানা প্রয়োজন। মনের কথার সঠিক উপস্থাপন, বক্তৃতা বা কথোপকথোনে বাগধারার ব্যবহার সেটিকে আরোও সুন্দর ও শ্রুতিমধুর করবে।

আরো পড়ুন : বোর্ড পরীক্ষায় ভালো রেজাল্ট করার ১০টি কার্যকর টিপস

বাংলা বাগধারা মনে রাখার সহজ উপায় ও কৌশল

বাংলা বাগধারা মনে রাখার সহজ উপায় ও কৌশল সম্পর্কে বলতে গেলে, আসলে বাগধারা মনে রাখার জন্য, এগুলোর সঠিক অর্থ ও সঠিক প্রয়োগটা আগে বুঝতে হবে এবং বাস্তব জীবনে সেগুলো ব্যবহার করতে হবে। নিয়মিত বাগধারা আছে এমন সব বই পড়া, নিজেরা নিজেদের সাথে কথা বলার সময় সেগুলোর ব্যবহার করা এবং লেখার সময়ও ব্যবহার করা প্রয়োজন। নিম্নে বাগধারা মনে রাখার কিছু সহজ উপায় ও কৌশল সম্পর্কে আলোকপাত করা হলো। 

বাগধারা মনে রাখতে প্রথমত প্রত্যেকটি বাগধারার আক্ষরিক অর্থ ও তার পেছনের প্রকৃত অর্থ বোঝার ও জানার চেষ্টা করতে হবে। যেমন, 'অকালপক্ব' এর মানে হলো ইঁচড়ে পাকা। এটি আসলে বয়স কম কিন্তু বোঝে বেশি এমন বোঝায়। এই বিষয়গুলো আত্মস্থ করলেই বাগধারা মনে থাকতে বাধ্য। 

  • বাংলা বাগধারাগুলো আসলে বাস্তবে কীভাবে ব্যবহৃত হয়, তা বোঝার জন্য বিভিন্ন জায়গায় উদাহরণ দেখুন। যেমন বিভিন্ন বই বা পত্রিকায় ব্যবহৃত বাগধারাগুলোর ব্যবহার লক্ষ্য রাখতে হবে এবং নিয়মিত চর্চায় থাকতে হবে। 
  • একটি বাগধারা শিখে সেটি নিয়ে অনেকগুলো নতুন বাক্য তৈরি করে সেটি ব্যবহার করুন। ফলে বাগধারার অর্থ এবং ব্যবহার সম্পর্কে আপনি ভালোভাবে বুঝতে পারবেন। 
  • কোন কিছু লেখার সময় বা অন্যের সাথে কথা বলার সময় আপনার শেখা বাগধারাগুলো ব্যবহার করার অভ্যাস করতে হবে।
  • সর্বপরি বাংলা বাগধারা ভালভাবে শেখার জন্য সবথেকে  ভালো উপায় হলো নিয়মিত অনুশীলন করা। একটি তালিকা তৈরি করে নিন আর প্রতিদিন নতুন নতুন কিছু বাগধারা শিখুন এবং সেগুলো বাস্তব জীবনে ব্যবহার করুন।

উপরে বর্ণিত সহজ উপায়গুলোর মাধ্যমে আপনি বাগধারা মুখস্ত করার পরিবর্তে সেগুলোর অর্থ এবং প্রয়োগ করা শিখে যাবেন। ফলে দীর্ঘমেয়াদে সেগুলো মনে থাকবে বলে আশা রাখছি। 

বাংলা বাগধারা তালিকা

বাংলা ভাষায় মোটামুটি ব্যবহৃত কিছু বাগধারার তালিকা আপনাদের সামনে উপস্থাপন করবো এবার। প্রয়োজন অনুযায়ী এগুলো ব্যবহার করা শিখবেন। আর চাইলে এগুলো কপি পেস্ট করে রাখতে পারেন অথবা মোবাইলে বুকমার্ক করে রাখতে পারেন অথবা pdf আকারে তালিকাটি ডাউনলোড করেও রাখতে পারেন। এই তালিকায় থাকা বাগধারাগুলোর মধ্যে থেকে প্রতিদিন ৪-৫টা করে নতুন বাগধারা শিখে সেগুলো বাস্তব জীবনে প্রয়োগ করতে পারলেই বাংলা বাধধারা আপনার জন্য আর কঠিন কিছু থাকবে না। 

অকাল কুষ্মান্ড (অকেজো): অকাল কুষ্মান্ড লোকটা গতকালও কাজটা শেষ করতে পারেনি।

অকালপক্ব (ইঁচড়ে পাকা): এমন অকালপক্ব ছেলেকে যে শিক্ষকরা প্রশ্রয় দেবেন না তাতে সন্দেহ নেই।

অকুল পাথার (মহাবিপদ): ভালো কলেজে ভর্তি হতে না পেরে অনেক ছাত্র অকূল পাথারে পড়েছে।

অক্কা পাওয়া (মরে যাওয়া): যে কোনো দিনই থুথুড়ে বুড়োটা অক্কা পেতে পারে।

অগাধ জলের মাছ (সুচতুর ব্যক্তি): মোড়ল সাহেব অগাধ জলের মাছ, তাঁকে বোঝা বড় কঠিন।

অগ্নিপরীক্ষা (কঠিন পরীক্ষা): ২০০৭ সালে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের শ্রীলংকা সফর ছিল অগ্নিপরীক্ষা।

অগ্নিশর্মা (খুবই রাগান্বিত): লোকটার বেয়াদবি দেখে বাবা রেগে অগ্নিশর্মা হলেন।

অদৃষ্টের পরিহাস (ভাগ্যবিড়ম্বনা): অদৃষ্টের পরিহাসে অনেক ধনকুবের পথের ফকির হয়ে গেল।

অনধিকার চর্চা (অজানা বিষয়ে হস্তক্ষেপ): আমি ব্যবসায়ী মানুষ, সাহিত্যের আলোচনা আমার জন্যে অনধিকার চর্চা।

অনুরোধে ঢেঁকি গেলা (অনুরোধে কষ্ট স্বীকার): অনুরোধে অনেক ঢেঁকি গিলেছি, এখন আর পারছি না।

অন্ধের যষ্টি/নড়ি (অক্ষম লোকের একমাত্র অবলম্বন): একমাত্র নাতিটি বুড়ির অন্ধের যষ্টি।

অন্ধকার দেখা (বিপদে সমাধানের উপায় না দেখা): বাবার অকাল-মৃত্যুতে মেয়েটা চোখে অন্ধকার দেখতে লাগল।

আরো পড়ুন : বাংলাদেশী শিক্ষার্থীদের জন্য সেরা ১০টি পড়ার অ্যাপ

অন্ধকারে ঢিল ছোড়া (আন্দাজে কিছু করা): অন্ধকারে ঢিল না ছুড়ে আসল ঘটনাটা জেনে এসো।

অমাবস্যার চাঁদ (দুর্লভ ব্যক্তি বা বস্তু): আপনি দেখছি অমাবস্যার চাঁদ হয়ে উঠেছেন আপনার দেখাই মিলছে না।

অরণ্যে রোদন (নিষ্ফল অনুনয়): লোকটা হাড়কৃপণ, ওর কাছে কিছু চাওয়া আর অরণ্যে রোদন একই কথা।

অর্ধচন্দ্র (গলা ধাক্কা): দারোয়ান উটকো লোকটাকে অর্ধচন্দ্র দিয়ে বের করে দিল।

আকাশকুসুম (অবাস্তব ভাবনা): শহরের সেরা কলেজে ভর্তি হওয়া অনেকের জন্যই এখন আকাশকুসুম ব্যাপার।

আকাশ থেকে পড়া (স্ততি হওয়া): পাপিয়ার কথা শুনে তাসলিমা যেন আকাশ থেকে পড়ল।

আকাশ-পাতাল (সীমাহীন): শহর ও গ্রামের জীবনযাত্রায় এখনও আকাশ-পাতাল পার্থক্য রয়েছে।

আকাশ ভেঙে পড়া (মহাবিপদে পড়া): ভেঙে পড়েছে। বন্যায় ঘরবাড়ি ভেসে যাওয়ায় অনেক পরিবারের মাথায় আকাশ

আকাশে তোলা (অতিরিক্ত প্রশংসা করা): কেউ কেউ স্বার্থ হাসিলের জন্য কর্মকর্তাদের আকাশে তোলে।

আকাশের চাঁদ (দুর্লভ বস্তু): সেরা কলেজে ভর্তি হতে পেরে ভাইয়া যেন আকাশের চাঁদ হাতে পেল।

আক্কেল গুড়ুম (হতবুদ্ধি অবস্থা): ছেলেটার কথাবার্তা শুনে তো আমার আক্কেল গুড়ুম!

আক্কেল সেলামি (বোকামির দণ্ড): ধাপ্পাবাজ লোকটার পাল্লায় পড়ে টাকাগুলো আক্কেল সেলামি দিতে হলো।

আখের গোছানো (ভবিষ্যৎ গুছিয়ে নেওয়া): দুর্নীতিবাজরা আখের গুছিয়ে নিলেও পার পাচ্ছে না।

আঙুল ফুলে কলাগাছ (হঠাৎ বিত্তবান হওয়া): শেয়ারের ব্যবসায় কুদ্দুস সাহেব এখন আঙুল ফুলে কলাগাছ।

আট কপালে (হতভাগ্য): আট কপালে লোকের ভাগ্যে চাকরি জোটা মুশকিল।

আঠারো মাসে বছর (ঢিলেমি): আমার মামা সব কাজেই দেরি করেন। সবাই বলেন তাঁর নাকি আঠারো মাসে বছর।

আদাজল খেয়ে লাগা (উঠে পড়ে লাগা): পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পাওয়ার জন্য মাহমুদ আদাজল খেয়ে লেগেছে।

আদায় কাঁচকলায় (শত্রুভাবাপন্ন): ওদের ভাইয়ে ভাইয়ে আদায় কাঁচকলায় সম্পর্ক, কেউ কাউকে সহ্য করে না।

আবোল-তাবোল (এলোমেলো কথা): আসল ঘটনা লুকোতে গিয়ে সে আবোল-তাবোল বকে চলেছে।

আমড়া কাঠের ঢেঁকি (অকেজো লোক): ও একটা আমড়া কাঠের ঢেঁকি, ওকে দিয়ে কাজটা হবে না।

আমলে আনা (গুরুত্ব দেওয়া): পুলিশ দারোয়ানের কোনো কথাই আমলে আনল না।

আলালের ঘরের দুলাল (বড় লোকের আদুরে ছেলে): এই আলালের ঘরের দুলালটি কাজ দেখলে ভয় পায়।

আষাঢ়ে গল্প (বানানো কথা): সময়মতো কাজে আসোনি, তার জন্যে আষাঢ়ে গল্প বলার দরকার কী?

আসমান-জমিন ফারাক (বিপুল ব্যবধান): ধনী ও গরিবের জীবনযাত্রায় আসমান-জমিন ফারাক।

আস্তানা গাড়া (সাময়িকভাবে কোথাও থাকতে শুরু করা): বানভাসি লোকগুলো বাঁধের ওপর আস্তানা গেড়েছে।

আহ্লাদে আটখানা (আনন্দে আত্মহারা): মাধ্যমিক পরীক্ষায় এ-প্লাস পেয়ে সে আহ্লাদে আটখানা।

ইঁচড়ে পাকা (অল্প বয়সেই পেকে গেছে এমন): ওই ইচড়ে পাকা ছেলেটাকে পাত্তা দিলেই ঘাড়ে চেপে বসবে।

ইতর বিশেষ (সামান্য পার্থক্য): ফলাফলে একই গ্রেড প্রাপ্তদের মধ্যে ইতর বিশেষ করা মুশকিল।

উড়ে এসে জুড়ে বসা (বিনা অধিকারে এসে সর্বেসর্বা হয়ে বসা): করবেন, তা পুরোনোরা মানবেন কেন? উনি উড়ে এসে জুড়ে বসে মাতব্বরি

উত্তম-মধ্যম (প্রচন্ড মার): ছিনতাইকারীকে উত্তম-মধ্যম দিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হলো।

উভয় সংকট (দু দিকেই বিপদ): বিজ্ঞান না বাণিজ্য, কোনটা পড়ব এ নিয়ে উভয় সংকটে পড়েছি।

উলুবনে মুক্তো ছড়ানো (অপাত্রে মূল্যবান কিছু প্রদান): ওকে জ্ঞান দেওয়া আর উলুবনে মুক্তো ছড়ানো একই কথা।

এঁটে ওঠা (সমানে পাল্লা দিতে পারা): তোমার সঙ্গে এঁটে ওঠা মুশকিল।

এক কথার মানুষ (কথা রাখে এমন): আমাকে বিশ্বাস করতে পারেন, আমি এক কথার মানুষ।

একচোখো (পক্ষপাতদুষ্ট): একচোখো লোকের কাছে কখনো সুবিচার আশা করা যায় না।

এলাহি কান্ড (বিরাট আয়োজন): সওদাগর সাহেবের মেয়ের বিয়ে, এলাহি কান্ড তো হবেই।

একাই এক শ (যথেষ্ট সমর্থ): ঐ পুঁচকে ছোঁড়াকে মোকাবেলার জন্য আমি একাই এক শ।

এসপার ওসপার (যে-কোনোভাবে মীমাংসা): ঝামেলাটা আর সহ্য হয় না। এবার এসপার ওসপার করতেই হবে।

ওত পাতা (সুযোগের অপেক্ষায় থাকা): বিড়ালটা মাছ চুরি করার জন্য ওত পেতে রয়েছে।

কড়ায় গন্ডায় (সূক্ষ্ম হিসেব অনুযায়ী): ও তাঁর পাওনা কড়ায় গণ্ডায় বুঝে নিতে এসেছিল।

কথার কথা (হালকা কথা): আমি কথার কথা একটা মন্তব্য করেছি আর তাতেই রাজু খেপে গেল।

কপাল ফেরা (সৌভাগ্য লাভ): ছেলেটা হঠাৎ বিদেশে চাকরি পাওয়ায় চাচা-চাচির কপাল ফিরেছে।

কলুর বলদ (অন্যের জন্য একটানা খাটুনি): সংসারের হাল ধরতে ছোট মামা কলুর বলদের মতো ঘানি টানছেন।

কাঁচা পয়সা (অল্প আয়াসে নগদ উপার্জন): দুর্নীতি করে অনেকেই কাঁচা পয়সা কামাই করেছে।

কাঁঠালের আমসত্ত্ব (অসম্ব বস্তু): বাংলায় ১০০-তে ১০০ নম্বর পাওয়া কাঁঠালের আমসত্ত্বের মতো।

কাছাটিলা (অগোছালো স্বভাবের): যেমন কাছাঢিলা লোক তুমি, ছাতা তুমি হারাবে না তো কে হারাবে?

কাঠখড় পোড়ানো (নানারকম চেষ্টা ও পরিশ্রম): কাজটা হাসিলের জন্য অনেক কাঠখড় পোড়াতে হবে।

কাঠের পুতুল (নির্জীব, অসার লোক): কোনো কোনো মন্ত্রী হয়ে যান কাঠের পুতুল, সব কাজ চালান তাঁর সচিব।

কান খাড়া করা (মনোযোগী হওয়া): আদালতে কী রায় হয় তা শোনার জন্য আইনজীবীরা কান খাড়া করে রইল।

কান পাতলা (বিশ্বাসপ্রবণ): বড় সাহেব এমন কান পাতলা যে তার অধীনে কাজ করাই মুশকিল।

কান ভারী করা (কারও বিরুদ্ধে অসন্তোষ সৃষ্টি): তুমি নাকি আমার বিরুদ্ধে বড়কর্তার কান ভারী করেছ?

কুল কাঠের আগুন (তীব্র মনঃকষ্ট): লাঞ্ছনা অপমানে তার মনের মধ্যে কুল কাঠের আগুন জ্বলতে লাগল।

কূপমণ্ডুক (সংকীর্ণমনা লোক): আমাদের সমাজে কূপমণ্ডুক লোকের অভাব নেই।

কেউকেটা (নিন্দার্থে গণ্যমান্য লোক): আপনি কি এমন কেউকেটা যে আপনার কথা শুনতেই হবে।

কেঁচে গণ্ডুষ করা (পুনরায় প্রথম থেকে শুরু করা): পুরো হিসাবটাই ভুল হয়েছে। আবার কেঁচে গণ্ডুষ করতে হবে।

কেঁচো খুঁড়তে সাপ (সামান্য ঘটনার সূত্রে গুরুতর ঘটনা প্রকাশ): জাল টাকা তদন্ত করতে গিয়ে বিরাট জালিয়াতি চক্র ধরা পড়ল- এ যে কেঁচো খুঁড়তে সাপ!

কোমর বাঁধা (কাজে উঠে পড়ে লাগা): পরীক্ষায় ভালো ফল করার জন্য তাহমিনা কোমর বেঁধে পড়াশুনায় লেগেছে।

খন্ড প্রলয় (তুমুল কার্ড): মোবাইল ফোন হারানোকে কেন্দ্র করে পাশের বাসায় একটা খণ্ড প্রলয় ঘটে গেছে।

খয়ের খাঁ (খোশামোদকারী, চাটুকার): ক্ষমতাসীনদের চারপাশে খয়ের খাঁ লোকের ভিড় জমে যায়।

খুঁটির জোর (পৃষ্ঠপোষকের সহায়তা): খুঁটির জোর আছে বলেই সে বারবার বদলি ঠেকায়।

গড্ডলিকা প্রবাহ (অন্ধের মতো অনুসরণ): বিত্তের মোহে সমাজের অনেকে গড্ডলিকা প্রবাহে গা ভাসিয়ে দেয়।

গন্ডারের চামড়া (অপমান বা তিরস্কার গায়ে লাগায় না এমন): ওর বোধ হয় গণ্ডারের চামড়া, তাই শত অপমানেও কোনো ভাবান্তর নেই।

গদাই লশকরি চাল (ঢিলেমি): এমন গদাই লশকরি চালে চললে কাজটা এ মাসেও শেষ হবে না।

গলগ্রহ (দায় বা বোঝা): অন্যের গলগ্রহ হয়ে বেঁচে না থেকে নিজের পায়ে দাঁড়ানোর চেষ্টা করা উচিত।

গাছে তুলে মই কাড়া (কাজে নামিয়ে সরে পড়া): তোমার ভরসায় এত বড় কাজে হাত দিয়েছি। এখন গাছে তুলে মই কেড়ে নিচ্ছ যে।

গায়ে পড়া (অযাচিত ঘনিষ্ঠতা): অমন গায়ে পড়া লোককে চেয়ারম্যান সাহেব পাত্তা দেবেন বলে মনে হয় না।

গায়ে ফুঁ দিয়ে বেড়ানো (কোনো দায়িত্ব গ্রহণ না করা): ও নেবে দায়িত্ব? গায়ে ফুঁ দিয়ে বেড়ানোই যে ওর স্বভাব।

গোঁয়ার গোবিন্দ (নির্বোধ ও একগুঁয়ে লোক): কাজটা বুঝে শুনে করবে। গোঁয়ার গোবিন্দের মতো করলে চলবে না।

গোড়ায় গলদ (মূলে কিংবা শুরুতে ভুল): বিয়ের আয়োজনে গোড়ায় গলদ ছিল বলে এত বিশৃঙ্খলা।

গোবর গণেশ (বোকা, অকর্মণ্য লোক): ছেলেটার না আছে বুদ্ধি, না পারে কোনো কাজ ও একেবারে গোবর গণেশ।

গোল্লায় যাওয়া (উচ্ছন্নে যাওয়া): বাবা-মায়ের আদরের ঠেলায় ছেলেটা গোল্লায় গেছে।

ঘাম দিয়ে জ্বর ছাড়া (উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা থেকে স্বস্তি): ছেলেটা ঘরে ফিরে আসায় সবার ঘাম দিয়ে জ্বর ছাড়ল।

ঘাস কাটা (বাজে কাজে সময় নষ্ট করা): অন্যেরা কাজ করবে আর তুমি বসে বসে ঘাস কাটবে? তা হবে না।

ঘোড়া রোগ (উৎকট বাতিক): ভাত জোটে না, বড়লোকের মেয়ে বিয়ে করতে চায় গরিবের ঘোড়ারোগ আর কি।

ঘোড়া ডিঙিয়ে ঘাস খাওয়া (ওপরওয়ালাকে এড়িয়ে কাজ হাসিল): সরকারি অফিসে ঘোড়া ডিঙিয়ে ঘাস খাওয়া কঠিন।

ঘোড়ার ডিম (অস্তিত্বহীন বস্তু): ও তোকে বইটা দেবে? ঘোড়ার ডিম দেবে।

চাঁদের হাট (সুখের সংসার): অবসর জীবনে শরীফ সাহেব কৃতী সন্তানদের নিয়ে চাঁদের হাট বসিয়েছেন।

চোখে চোখে রাখা (সতর্ক নজরদারি): অজানা-অচেনা কেউ এলে তাকে চোখে চোখে রাখা দরকার।

চোখে ধুলো দেওয়া (ফাঁকি দেওয়া): পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে অপরাধী গা ঢাকা দিয়েছে।

চোখের বালি (চক্ষুশূল; ক্রোধ বা বিরক্তির কারণ): মা-মরা ছেলেটা কত শান্ত, তবু সে তার সৎ-মায়ের চোখের বালি।

ছিনিমিনি খেলা (বেহিসাবি খরচ): উন্নয়ন প্রকল্পের টাকা নিয়ে অনেক ছিনিমিনি খেলা হয়েছে।

ছেঁকে ধরা (ঘিরে ধরা): বেতন বৃদ্ধির দাবিতে সবাই কারখানার মালিককে ছেঁকে ধরেছে।

ছেলের হাতের মোয়া (সহজপ্রাপ্য জিনিস): ভালো ফলাফল ছেলের হাতের মোয়া নয়, এ জন্যে যথেষ্ট পড়াশুনা দরকার।

জগাখিচুড়ি (অবাঞ্ছিত জটিলতা): তোমার জগাখিচুড়ি কাজ দেখলে আমার মাথা গরম হয়ে ওঠে।

জিলিপির প্যাঁচ (কুটিল বুদ্ধি): ওর মনে যে এত জিলিপির প্যাঁচ তা বুঝব কী করে!

ঝোপ বুঝে কোপ মারা (সুযোগ বুঝে কাজ করা): ঝোপ বুঝে কোপ মারতে না জানলে ব্যবসায়ে টেকা মুশকিল।

টনক নড়া (চৈতন্য হওয়া): ব্যবসা লাটে উঠতেই তার টনক নড়ল।

ঠাঁট বজায় রাখা (অভাব লুকানো): জমিদারি নেই, কিন্তু চৌধুরী বংশে এখনও জমিদারি ঠাঁট বজায় আছে।

ঠোঁট কাটা (স্পষ্টবাদী): ঠোঁট কাটা লোক অনেকেরই অপছন্দ।

ডুমুরের ফুল (অদৃশ্য ব্যক্তি বা বস্তু): কী ব্যাপার। তুমি হঠাৎ ডুমুরের ফুল হয়ে উঠলে যে?

ঢিমে তেতালা (খুবই মন্থর গতি): এমন চিমে তেতালাভাবে পড়াশুনা করলে সিলেবাস শেষ হবে না।

তালকানা (তালজ্ঞান বর্জিত): উনি তালকানা লোক। ওর কাছে পরিপাটি কাজ আশা করছ কেন?

থ বনে যাওয়া (বিস্ময়ে হতবাক হওয়া): লোকটার কান্ড দেখে সবাই থ বনে গেল।

তাসের ঘর (ভঙ্গুর): ওদের বন্ধুত্ব তাসের ঘরের মতোই ভেঙে গেছে।

তামার বিষ (অর্থের কুপ্রভাব): তামার বিষে ওরা ধরাকে সরা জ্ঞান করছে।

দা-কুমড়ো (নিদারুণ শত্রুতা): ভাইয়ে ভাইয়ে এখন একেবারে দা-কুমড়ো সম্বথ।

দুধের মাছি (সুসময়ের বন্ধু): ধনীর দুলাল ছেলেটাকে দুধের মাছিরা ঘিরে রেখেছে।

দুমুখো সাপ (দু রকম আচরণকারী, ক্ষতিকর লোক): লোকটা আস্ত দুমুখো সাপ, তোমাকে বলেছে একরকম আমাকে অন্যরকম।

ধরাকে সরা জ্ঞান করা (অতিরিক্ত দম্ভে কিছুই গ্রাহ্য না করা): পরীক্ষায় প্রথম হয়ে সে ধরাকে সরা জ্ঞান করছে।

ননির পুতুল (অল্প শ্রমে কাতর): ফারিহা তো ননির পুতুল, এত পরিশ্রমের কাজ ওকে দিয়ে হবে না।

নাক গলানো (অনধিকার চর্চা): যে-কোনো ব্যাপারে নাক গলানো কারো কারো স্বভাব।

নেই আঁকড়া (নাছোড়বান্দা): কী যে নেই আঁকড়া লোকের পাল্লায় পড়েছি। রেহাই মিলছে না।

পটল তোলা (মারা যাওয়া): চাঁদাবাজটা পটল তুলেছে শুনে এলাকার লোকজন স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলল।

পথে বসা (সর্বস্বান্ত হওয়া): বন্যায় সব হারিয়ে অনেকে এবার পথে বসেছে।

পালের গোদা (দলের চাঁই, সর্দার): পুলিশ পালের গোদাকে কোর্টে চালান দিয়েছে।

পুকুর চুরি (বড় রকম চুরি): রাস্তা মেরামত না করেই ঠিকাদার ৫০ লাখ টাকা নিয়েছে এ যে রীতিমতো পুকুর চুরি।

ফাঁক-ফোকর (দোষত্রুটি): আইনের ফাঁক-ফোকর গলে সন্ত্রাসীরা জামিনে খালাস পেয়ে যাচ্ছে।

ফেঁপে ওঠা (হঠাৎ বিত্তবান হওয়া): চোরাচালানি করে কেউ কেউ রাতারাতি ফেঁপে উঠেছে।

ফোঁড়ন কাটা (টিপ্পনী কাটা): কথার মাঝখানে ফোঁড়ন কাটা ওর অভ্যাস।

ফোপরদালালি (নাক গলানো আচরণ): সব ব্যাপারে ওর ফোপরদালালি করার অভ্যাস।

বকধার্মিক (ভন্ড): সমাজে বকধার্মিক লোকের অভাব নেই।

বর্ণচোরা আম (কপট লোক): লোকটা একটা বর্ণচোরা আম। বাইরে থেকে ওকে বোঝা মুশকিল।

বাঁ হাতের ব্যাপার (ঘুষ দেওয়া-নেওয়া): এ অফিসে বাঁ হাতের ব্যাপার ছাড়া ফাইল নড়ে না।

বাজিয়ে দেখা (পরখ করা): সে ঘটনাটা জানে কিনা একটু বাজিয়ে দেখতে হবে।

বাপের বেটা (সাহসী): শাবাশ! বাপের বেটার মতোই করেছিস কাজটা।

বালির বাঁধ (ক্ষণস্থায়ী): বড়লোকের ছেলের সঙ্গে বন্ধুত্ব আর বালির বাঁধ একই কথা।

বিড়াল-তপস্বী (ভন্ড সাধু): সমাজে মাঝে মাঝে বিড়াল-তপস্বীদের তৎপরতা বেড়ে যায়।

বিদ্যার জাহাজ (মূর্খ বা অশিক্ষিত লোক): যে নিজে বিদ্যার জাহাজ সে অন্যকে কী শেখাবে?

বুকের পাটা (সাহস): মাস্তানটার বিরুদ্ধে তুই অভিযোগ করেছিস। তোর বুকের পাটা আছে বলতে হবে।

বুদ্ধির ঢেঁকি (নির্বোধ): এ কাজের জন্য চাই চালাক-চতুর লোক, বুদ্ধির ঢেঁকি দিয়ে এ কাজ হবে না।

ভিজে বেড়াল (বাইরে নিরীহ ভেতরে ধূর্ত) ভিজে বেড়ালদের অনেক সময় চেনা যায় না।

ভরাডুবি (সর্বনাশ): আদমজি পাটকল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় পাটচাষিদের এবার ভরাডুবি হয়েছে।

ভুঁইফোড় (হঠাৎ বড়লোক): মানুষ সচেতন হলে ভূঁইফোড়দের দাপট না কমে পারে না।

ভূতের বেপার (অযথা শ্রম দান): সারাক্ষণ ভূতের বেগার খাটছি, লাভ কিছুই হচ্ছে না।

মামাবাড়ির আবদার (চাইলেই পাওয়া যায় এমন): গতকাল ১০০ টাকা নিলে। আজ আবার ২০০ টাকা চাইছ। একি মামাবাড়ির আবদার নাকি?

মিছরির ছুরি (আপাতত মধুর হলেও শেষ পর্যন্ত যন্ত্রণাদায়ক): তোমার কথাগুলো ঠিক যেন মিছরির ছুরি।

যক্ষের ধন (কৃপণের কড়ি): পৈতৃক ভিটেটা সে যক্ষের ধনের মতো আগলে রেখেছে।

রুই-কাতলা (প্রভাবশালী): সমাজের রুই-কাতলাদের দাপটে চুনোপুঁটিদের অবস্থা এখন কাহিল।

লেফাফা দুরস্ত (বাইরের ঠাঁট ষোল আনা): ঘরে যে এমন টানাটানি, তা ওর লেফাফা দুরস্ত ভাব দেখে কে বুঝবে?

রাশভারি (গম্ভীর): আমাদের প্রধান শিক্ষক রাশভারি লোক। সবাই তাকে ভয় পায়।

শাপে বর (অনিষ্টে ইষ্ট লাভ): আমার বড়মামা চাকরি না পেয়ে ব্যবসায়ে ঢুকেছেন। এতে তাঁর শাপে বর হয়েছে।

সেয়ানে সেয়ানে (দুই সমান প্রতিদ্বন্দ্বীর মধ্যে): দুজনের মধ্যে সেয়ানে সেয়ানে লড়াই চলছে অনেকদিন।

সোনায় সোহাগা (সার্থক মিলন): পরীক্ষায় পাস করতে না-করতেই এমন ভালো চাকরি পাওয়া, এ যে সোনায় সোহাগা!

হ-য-ব-র-ল (উল্টোপাল্টা): অনুষ্ঠানের হ-য-ব-র-ল অবস্থা দেখে চলে এসেছি।

হাড়-হাভাতে (একেবারে নিঃস্ব): হাড়-হাভাতে ছেলেটা যে কীভাবে এ সংসারে এসে জুটল বলতে পারব না।

হাতটান (ছোটখাটো চুরির অভ্যাস): ছেলেটা কাজে-কর্মে বেশ ওস্তাদ। তবে দোষের মধ্যে হাতটান আছে।

হাতের পাঁচ (শেষ সম্বল): হাতের পাঁচ হিসেবে হাজারখানেক টাকা আছে। তোমাকে ধার দেব কেমন করে?

হালে পানি না পাওয়া (কাজ হাসিলের উপায় না পাওয়া): সে বড় কাজে হাত দিয়েছে, কিন্তু হালে পানি পাচ্ছে না।

FAQ : বাংলা বাগধারা তালিকা pdf ও মনে রাখার উপায়

প্রশ্ন-০১: বাগধারা কোথায় আলোচিত হয়

উত্তর: বাগধারা বাংলা ২য় পত্র বা বাংলা ব্যাকরণ বিষয়ে আলোচিত হয়।

প্রশ্ন-০২: বাগধারা অর্থ কি

উত্তর: বাগধারা অর্থ হলো, বাক্য বা বাক্যাংশের বিশেষ প্রকাশভঙ্গি

প্রশ্ন-০৩: বাগধারা কাকে বলে

উত্তর: যে পদগুচ্ছ বা বাক্যাংশ বিশিষ্টার্থক প্রয়োগের ফলে আভিধানিক অর্থের বাইরে আলাদা অর্থ প্রকাশ করে, তাকে বাগধারা বলা হয়।

প্রশ্ন-০৪: বাগধারা ইংরেজি কি

উত্তর: বাগধারার ইংরেজি হলো, Idiom

উপসংহার: বাংলা বাগধারা তালিকা pdf ও মনে রাখার উপায়

প্রিয় পাঠক, বাগধারা শুধু মাত্র পরীক্ষায় নম্বর পাবার জন্য শিক্ষার্থদের জানার বিষয় নয়। এটি আসলে আমাদের দৈনিন্দিন বাংলা ভাষাকে সবার সামনে আরো শ্রুতিমধুর করে উপস্থাপনের জন্য ভালভাবে জানা খুব জরুরী। বাংলা ভাষায় রস-কস বলতে যদি কিছু পেতে চান তাহলে বাগধারা ব্যবহার করুন। বাংলা বাগধারা তালিকা pdf ও মনে রাখার উপায় সম্পর্কিত এই পোস্টে আমরা অনেকগুলো বাগধারা সম্বলিত একটি তালিকা উপস্থাপন করেছি সেই সাথে এগুলো মনে রাখার উপায় ও কৌশল সম্পর্কে আপনাদের অবগত করেছি। পোস্টটি ভাল লাগলে বন্ধুদের সাথে সেয়ার করুন কোন প্রশ্ন থাকলে কমেন্ট করতে পারেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

ফ্লোনেস্ট বিডির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url